বাংলাদেশ সীমান্তেও কড়া নজরদারি ভারতের

বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ সময়: ১৬:২৯:২৫
বিজ্ঞাপন
This is curout pro

This is curout pro

পেহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পূর্ব সীমান্তজুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত। নিরাপত্তা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, বিশেষত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে।


গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানায়, সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং ওয়াকফ আইনবিরোধী আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া দাঙ্গার পেছনে সীমান্তের দুষ্কৃতকারীদের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

সেই দাঙ্গায় অন্তত তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই সহিংসতা উসকে দিতে বাংলাদেশি উপদ্রবকারীরা জড়িত ছিল।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে টহল ও নজরদারি জোরদার করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ কিংবা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হতে পারে।

উল্লেখ্য, পেহেলগাঁওয়ে হামলার জেরে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়া নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছে ইসলামাবাদ। এরইমধ্যে পাকিস্তান সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে এবং নৌবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনাও বেড়েছে।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার মঙ্গলবার দাবি করেন, ভারতের পক্ষ থেকে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সীমিত আকারে সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে—এমন ‘বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’ পেয়েছে তারা।

তার আগের দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেনাবাহিনীর তিন প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে পেহেলগাঁওয়ে হামলার জবাবে পূর্ণ ‘অপারেশনাল স্বাধীনতা’ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের পাশাপাশি পূর্বাঞ্চলেও পরিস্থিতি সরবভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে নয়াদিল্লি। নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

0%
0%
No Comment Yet