বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এবার ত্রিপুরার নেতার হুংকার

বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫ সময়: ২২:২৭:১০
বিজ্ঞাপন
This is curout pro

This is curout pro

ভারতের সেভেন সিস্টার্স’র অন্যতম ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোৎ মাণিক্য বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে আলাদা করার হুমকি দিয়েছেন। উত্তর-পূর্বের এই নেতা দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ভারতের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন।

ভারতের সেভেন সিস্টার্স’র অন্যতম ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যোৎ মাণিক্য বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে আলাদা করার হুমকি দিয়েছেন। উত্তর-পূর্বের এই নেতা দাবি করেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ভারতের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। তখন চট্টগ্রাম বন্দর হাতছাড়া করা ভারতের জন্য ঠিক হয়নি। তিনি হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরা থেকে খুব একটা দূরে নয়। এই আবহে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়েই ভারতকে ‘রাস্তা করে নেয়ার’ পরামর্শ দেন প্রদ্যোৎ। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।

খবরে বলা হয়, চীন সফরে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭ রাজ্যকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ড. ইউনূস। তিনি নাকি বলেছিলেন, উত্তর-পূর্বে ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। তাদের সমুদ্রে পৌঁছনোর কোনও উপায় নেই। এই অঞ্চলে আমরাই সমুদ্রের দেখভাল করি। এটি একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণ হতে পারে।

এই আবহে প্রদ্যোৎ বলেন, ‘আমাদের আদিবাসীদের সমর্থন করে সমুদ্রে যাওয়ার পথ তৈরি করার সময় এসেছে ভারতের কাছে। একসময় চট্টগ্রাম শাসন করত এই আদিবাসীরাই। তাই আমরা আর এই অকৃতজ্ঞ শাসনের ওপর নির্ভরশীল নই। ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ১৯৪৭ সালে বন্দরটি ছেড়ে দেয়া। সেখানে বসবাসকারী পাহাড়ি জনগণ ভারতের অংশ হতে চাইতেন। জনাব ইউনূস মনে করতে পারেন যে, তিনি সমুদ্রের অভিভাবক। কিন্তু বাস্তবতা হল তিনি প্রায় ৮৫ বছর বয়সী একজন স্টপ-গ্যাপ নেতা। ভুলে গেলে চলবে না, তিনি যে বন্দরের কথা বলছেন তা ত্রিপুরা থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে।’

এদিকে ইউনূসের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চিকেনস নেক করিডরে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর দিতে বলেন হিমন্ত। তবে সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রদ্যোৎ বলেন, ‘উদ্ভাবনী এবং চ্যালেঞ্জিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করার পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলতে পারি এবং সমুদ্রে যাওয়ার জন্যে আমাদের নিজস্ব রাস্তা পেতে পারি। পার্বত্য চট্টগ্রামে সর্বদা আদিবাসী উপজাতিদের বসবাস ছিল। তারা ১৯৪৭ সাল থেকে সর্বদা ভারতের অংশ হতে চেয়েছিল। সেখানে লাখ লাখ ত্রিপুরা, গারো, খাসি ও চাকমা জনগোষ্ঠী রয়েছে। তারা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বসবাস করছে। এটি আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং তাদের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করা উচিত।’

0%
0%
No Comment Yet